আজ ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সিআইডি

নিখোঁজের ৬ বছর পর ঝালকাঠিতে যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার


নিখোঁজের ৬ বছর পর ঝালকাঠির কানুদাশকাঠি গ্রাম থেকে খাইরুল মীর নামে এক যুবকের কঙ্কাল উদ্ধার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বুধবার বিকালে কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছন থেকে তার কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

পরে সন্ধ্যায় ঝালকাঠি সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হক জানান, মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধের জেরে চারজনে মিলে খাইরুলকে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজাপুর উপজেলা সদরের বাইপাস এলাকার বাড়ি থেকে খাইরুল মীরকে মোবাইল ফোনে নলবুনিয়া গ্রামে ডেকে নেয় ফোরকান নামে এক মাদক ব্যবসায়ী। নলবুনিয়া গ্রামের মনির হোসেনের বাড়িতে খাইরুল মীরকে পিটিয়ে হত্যা করে ফোরকান, সোহাগ, মনির ও গিয়াস। পরে তার মরদেহ মনিরের বাড়ির পাশে মাটি চাপা দেয়া হয়। ঘটনার এক মাস পরে ওই চারজন মিলে সেখান থেকে মরদেহ তুলে পাশের গ্রাম কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনে বাঁশঝাড়ের মধ্যে আবার মাটি চাপা দেয়।

এ ঘটনায় খাইরুলের ছোট ভাই সিরাজুল ইসলাম সিরাজ বাদী হয়ে ২০১৭ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর রাজাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ২৬ ডিসেম্বর মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডির উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল হোসেন মামলাটি তদন্ত করেন। এক পর্যায়ে গত ৩ অক্টোবর রাতে কানুদাশকাঠি গ্রামের বাড়ি থেকে সিআইডি মিরাজুল ইসলাম মিজুকে আটক করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি হত্যাকারীদের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।

ঝালকাঠি সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এহসানুল হকের নেতৃত্বে একটি দল আজ বিকেলে কানুদাশকাঠি গ্রামের একটি মসজিদের পেছনের বাঁশঝাড় থেকে খাইরুল মীরের কঙ্কাল উদ্ধার করে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর